সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বানিয়াচংয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, পিতা-পুত্রের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে পিতা পুত্রকে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা এগারটায় বানিয়াচং নতুন বাজারে ভোক্তা অধিকার আইনের বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা ও কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদ এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে বানিয়াচং নতুনবাজারে অবস্থিত অরুন রায়ের মুদির দোকানকে পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা, ১৪টি বার্মিজ আচারের প্যাকেটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭/৫১ ধারায় দুই হাজার টাকা এবং ৯টি মুড়ির প্যাকেট ও ৫০টি বার্মিজ আচারের প্যাকেটে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় একই ধারায় রণধীর মোদকের মুদির দোকানকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অন্যদিকে পণ্যে মোড়ক ব্যবহার না করা, ভেজাল পণ্য তৈরি, খাদ্য নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, অবৈধ অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়ায় উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও নকল পণ্য প্রস্তুত করায় ভেজাল কারখানা মালিক সেন্টু মিয়া ও তার পুত্র কাওছার মিয়াকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭/৪২/৪৩/৫০/ও ৫২ ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ দণ্ড প্রদান করেন বানিয়াচং উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি ) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান খান।

এই বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মতিউর রহমান খান জানান, অনুমোদন বিহীন নিয়মতান্ত্রিক ও হাইজিনিক জিনিস বলতে কোনো কিছুই এখানে নেই। তার উপর পণ্যের প্যাকেটে কোন উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ, এমনকি মূল্য পর্যন্ত দেয়া নাই। আবার ভেজাল খাদ্য উৎপাদন করে অন্যান্য কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে বাজারজাত করছে তারা। এসব খেলে শিশুরা এবং বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়বে তাৎক্ষনিক। যে খাবে সেই অসুস্থ হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় আমরা ভোক্তা অধিকার ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এই কারখানার মালিক ও তার পুত্রকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছি।

তিনি জানান, তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে আর্থিক কোনো জরিমানা করা হয়নি। শুধুমাত্র কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এই কারাখানা থেকে জব্দকৃত মুড়ি, আচার, চিপস, মটরশুঁটি, পলিথিনসহ নানা পণ্য উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী খালি ময়দানে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। নষ্ট করা পণ্যের আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সাহায্য করেন বানিয়াচং থানার এসআই আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com